। । মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী ।।
সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার হক
(১) তাঁদেরকে কোন প্রকার কষ্ট না দেওয়া। যদিও তাঁদের পক্ষ থেকে কোন বাড়াবাড়ি করা হয়।
(২) কথাবার্তা ও আচার-আচরণে তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
(৩) ইসলাম সমর্থিত প্রতিটি বিষয়ে তাদের অনুসরণ করা।
(৪) প্রয়োজনে তাদেরকে অর্থনৈতিক সেবা প্রদান করা। যদি তারা উভয়ে কাফির হয় তবুও।
মাতা-পিতার মৃত্যুর পর তাঁদের হক
(১) তাঁদের জন্য মাগফিরাত ও রহ্মতের দোয়া করা। নফল ইবাদত ও সাদকা খয়রাত করে তাঁদের প্রতি ঈসালে সাওয়াব করা।
(২) তাঁদের বন্ধু-বান্ধবদেরকে আর্থিক ও দৈহিক সেবা প্রদান করা এবং সদাচরণ করা।
(৩) মাতা-পিতার ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করা।
(৪) মাঝে মাঝে তাঁদের কবর যিয়ারত করা।
দাদা-দাদী ও নানা-নানীর হক
দাদা-দাদী ও নানা-নানীর হুকুম শরীয়তের দৃষ্টিতে মাতা-পিতার মত। সুতরাং তাঁদের হক্ও মাতা-পিতার হকের মত মনে করতে হবে। এরূপ খালা, মামা মায়ের মত এবং চাচা, ফুফু পিতার মত। হাদীস শরীফে এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পিতা-মাতার উপর সন্তানের হক
সন্তানের উপর যেমন মাতা-পিতার হক্ রয়েছে তেমনি মাতা-পিতার উপরও সন্তানের হক্ রয়েছে। সেগুলো হলো-
(১) সুসন্তানের আশায় সতী-সাধ্বী নারীকে বিয়ে করা।
(২) শৈশব-কৈশোরে আন্তরিকতার সাথে স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে সন্তান প্রতিপালন করা। সন্তানের প্রতি মায়া-মুহাব্বতের ফযীলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। বিশেষ করে কন্যা সন্তান হলে মনোক্ষুণ্ন না হওয়া। তাদের প্রতিপালনের বিশেষ ফযীলত রয়েছে। ধাত্রী দ্বারা দুধ পান করানোর প্রয়োজন হলে চরিত্রবান ও দ্বীনদার ধাত্রী তালাশ করা। কেননা, দুধের প্রভাব সন্তানের চরিত্রের উপর পড়ে।
(৩) তাদেরকে ইল্মে দ্বীন বা ধর্মীয় শিক্ষা, আদব-কায়দা, ভদ্রতা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া।
(৪) বিয়ের উপযুক্ত হলে বিয়ে করিয়ে দেওয়া। মেয়ের স্বামী মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত নিজ গৃহে শান্তিতে থাকতে দেওয়া। তার প্রয়োজনীয় ভরণ-পোষণের যোগান দেওয়া।
লেখকঃমুহাদ্দিস- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা, খতীব- তিস্তা গেট জামে মসজিদ টঙ্গী, গাজীপুর, উপদেষ্টা- উম্মাহ ২৪ ডটকম এবং কেন্দ্রীয় অর্থসম্পাদক- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।ই-মেইল- muftijakir9822@gmail.com
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ