শীত শুরু হলেই পিঠার উৎসব শুরু হয়। এ সময় প্রায় প্রত্যেকের ঘরে পিঠা বানানোর উৎসব চলে। বেশিরভাগ গ্রামেই নানা ধরনের পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। যেমন- ভাপা পিঠা, চিতুই পিঠা, খেঁজুর পিঠা, শামুক পিঠা ইত্যাদি। অনেকেই শীতের সময় শীতের পিঠা খেতে শহর ছেড়ে গ্রামে যায়। কেননা শহরে শীতের পিঠার তেমন একটা ব্যস্ততা দেখা যায় না। কেউ ঝাল পিঠা খেতে পছন্দ করেন, কেউ আবার মিষ্টি পিঠা খেতে পছন্দ করেন।
শীতে সব আইটেমেরই পিঠা খেতে মজা লাগে। এরমধ্যে পুলি পিঠা অন্যতম। নিজ বাসায় বসে এটি খুব কম খরচে সহজেই বানিয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন করা যায়। আজ রেসিপিটি একুশে টিভি অনলাইনে তুলে ধরা হলো-
উপকরণ :
১) ময়দা আধা কেজি। পুলি পিঠা বানাতে সচরাচর আতপ চালের আটা দিয়ে বানানো হয়। কিন্তু চালের আটা থেকে ময়দার বানানো পুলি পিঠা খুব নরম ও সফট হয়। তাই ময়দা দিয়ে বানানো সবচেয়ে ভালো হয়।
২) খেজুরের গুড় অথবা চিনি।
৩) কুরানো নারিকেল।
৪) তিলের গুড়া।
৫) এক চিমটি এলাস গুঁড়া।
৬) দারচিনি দুই থেকে তিনটা।
৭) লবণ স্বাদ মতো
৮) তেল ও
৯) পানি।
প্রণালি :
প্রথমে নারিকেলের নাড়ু বানাতে কড়াইতে তেল দিয়ে নিন। এরপর সেখানে নারিকেল গুড়া ও তিলের গুড়া দিয়ে নাড়তে থাকুন। এতে চিনি ও লবণ দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন। এরপর এলাস গুড়া ও দারচিনি দিয়ে নাড়ুন যতক্ষণ না লাল হচ্ছে। লাল হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এখন আরেকটি কড়াইতে পানি গরম করে ময়দাগুলো ঢেলে দিয়ে কাওয়া করে নিন। কাওয়া হয়ে গেলে সেগুলো রুটি বানিয়ে ফেলুন। এরপর রুটিগুলো গ্লাসের মুখ দিয়ে সাইজ করে কেটে নিন। অন্যভাবেও সাইজ করে কেটে নিতে পারেন। সাইজ করে কাটা রুটিতে একটু একটু করে নাড়ু দিয়ে চাঁদের মত মুড়িয়ে ফেলুন। এমন করে অনেক ডিজাইনভাবে করা যায়। এভাবে অনেক কয়েকটা হয়ে গেলে গরম তেলে ভাজতে হবে। ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পুড়ে না যায়। তাই অল্প আঁচে পিঠাটি ভাজতে হবে। ভাজার পর একটি পাত্রে টিসু পেপার রেখে সেখানে নামিয়ে ফেলুন।
হয়ে গেল মজাদার মুচমুচে শীতের পুলি পিঠা। তবে যারা খুব ঝাল পছন্দ করেন তারা পিঠার ভিতরে নারিকেলের নাড়ু না দিয়ে ঝাল সবজি দিয়েও বানাতে পারেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ