আজ কী খাচ্ছেন? ক্রেডিট কার্ড বার্গার, লেগো সুশি নাকি পিভিসি পাইপ?
এই প্রশ্নগুলো বেশ অদ্ভূতুড়ে শোনালেও প্রতিদিন খাবারে সাথে যে পরিমাণ মাইক্রো প্লাস্টিক আমাদের দেহে প্রবেশ করে তার আসল চিত্র দেখলে প্রশ্নগুলোকে অমূলক মনে হবেনা একদমই।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি সপ্তাহে খাবারের সাথে একটি ক্রেডিট কার্ডের সমপরিমাণ প্লাস্টিক গ্রহণ করে। সমুদ্রে প্লাস্টিক দুষণের ফলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে প্লাস্টিক প্রবেশ করছে মানুষের দেহে, প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়ার ঝুঁকি তো আছেই।
এক মাসেই মানুষের দেহে ৪x২ লেগো ব্রিকের সম্পরিমাণ প্লাস্টিক ও এক বছরে একটি হেলমেটের সমপরিমাণ প্লাস্টিক প্রবেশ করে। এ পরিমাণ খুব বেশি মনে না হলেও খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ইত্যাদি বিভিন্ন অবস্থাভেদে পরিমাণ বাড়তেও পারে। এই হারে এক দশকে মানুষ দুটি প্লাস্টিক পাইপের সমপরিমাণ প্রায় আড়াই কেজি প্লাস্টিক খায়। এবং একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় অন্তত ২০ কেজির মতো প্লাস্টিক খায়!
প্লাস্টিকের দাম কম হওয়ায় গত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়ে হুহু করে প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বেড়েছে। প্লাস্টিক মাটিতে মিশে যায়না, বা ধ্বংসও হয়না। একারণেই প্লাস্টিক ছোট ছোট কণায় বিভক্ত হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে আমাদের আশেপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্রতল থেকে শুরু করে গহীন বন ও খাদ্যশৃঙ্খল – সর্বত্রই প্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সংরক্ষিত জলাভূমির উপকূলে দাঁড়িয়ে ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ম্যালকম হাডসন জলাভূমিকে জমে থাকা ছোট বিন্দুর মতো প্লাস্টিকের কণা দেখগান। হাডসনের মতে, বেশিরভাগ গবেষণা মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে হলেও, বর্তমানে এরচেয়েও ছোট ন্যানোপ্লাস্টিকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ন্যানোপ্লাস্টিক খালি চোখেও দেখা যায়না, ফলে আমাদের দেহে ন্যানোপ্লাস্টিক প্রবেশের সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে।
আরও পড়তে পারেন-
- আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই
- আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সংক্ষিপ্ত জীবনী
- আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রাহ.): দ্যা স্টোরি অফ এ মুসলিম লিডার
- আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জানাজা সম্পন্ন
“এ কণাগুলো আমাদের রক্ত ও লসিকাতন্ত্রে প্রবেশ করে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গে থেকে যেতে পারে। এই প্লাস্টিক কণাগুলো টাইম বোমার মতো, যে কোনো মুহূর্তেই তা ভেঙ্গে মানুষ ও প্রাণীদেহে প্রবেশ করতে পারে।”
এ গবেষণার তথ্য নিয়েই বিশাল সময় জুড়ে আমাদের দেহে কী পরিমাণ প্লাস্টিক প্রবেশ করতে পারে তা ছবির মাধ্যমে চিত্রায়ন:
সূত্র: রয়টার্স।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ