এখনও শহর ও শহরতলীতে জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই কম। আগামী সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রার পারদ কমার ইঙ্গিত রয়েছে। এই সময় সুস্থ থাকাটাই কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ। এরই মধ্যে শীতকালে গোসল করা অনেকের কাছেই সবচেয়ে কঠিন সমস্যা। অনেকেই গরম জলে গোসল করেন, অনেকে আবার সুস্থ থাকতে ঠান্ডা জলে গোসল করেন এই শীতেই। কোন জলে গোসল করা বেশি উপকার?
এক.
খুব গরম জলে স্নান করা কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো না। ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। স্নানের সময় মাথায় অতিরিক্ত গরম জলের ব্যবহার, চুলকে যেমনি ক্ষতিগ্রস্ত করে তেমনি মস্তিস্কের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করে। সেই কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, মাথায় ঠান্ডা জল ব্যবহার করা।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
দুই.
অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার করলে মুখে ব্রণ হয়। অ্যাসিডিটি-র সমস্যাতেও চিকিৎসকেরা পুরোপুরি গরম জলে স্নান করতে বারণ করে থাকেন। এ ছাড়া মানসিক বিষণ্ণতাতেও গরম জলে স্নান করার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিন.
যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, গরম জলের ব্যবহার, তাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে।
চার.
ঠাণ্ডা জলে স্নান করলে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গের উৎপত্তি ঘটবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এই অভ্যাস।
পাঁচ.
অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে স্নান, আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এতে দেহের সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের বাতের ব্যথার প্রবণতা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা জলে স্নান করা একেবারেই চলবে না। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ