মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল সৌদি আরব। করোনা সংক্রমণ রোধে মধ্যপ্রাচ্যে এর আগে এই টিকার প্রথম অনুমোদন দেয় বাহরাইন। সৌদি প্রেস এজেন্সি থেকে দেওয়া একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে ‘আরব নিউজ’ ও ‘দ্যা হিল’ এ কথা জানায়।
গণমাধ্যম দু’টির প্রতিবেদনে ওই বিবৃতি তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবে ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি। করোনা রুখতে দেশের স্বাস্থ্য দফতর এবার এই টিকা বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করতে পারবে।’
তবে কবে থেকে দেশের সাধারণ নাগরিক করোনার এই ভ্যাকসিনটি পাবে তা ওই বিবৃতিতে জানানো হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য ফাইজারের টিকার ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটেন। সেখানে শুরু হয়েছে গণটিকা প্রদান কার্যক্রমও। এরপর বাহরাইন এবং কানাডাও এই টিকার ছাড়পত্র দেয়। এরপরই সৌদি আরবও নিজেদের নাগরিকদের জন্য এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিল।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
গত মঙ্গলবার থেকে ফাইজারের টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে ব্রিটেন। এরই মধ্যে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) সতর্কতা জারি করেছে যে, যারা বেশি মাত্রায় অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন, তারা আপাতত ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিতে পারবেন না।
প্রথমদিন যারা টিকা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই এনএইচএস কর্মীর প্রবল অ্যালার্জি হয়েছে। যে দু’জন কর্মীর দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তারা চিকিৎসা নেওয়ার পর তাদের অবস্থা এখন ভালো বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই দুই কর্মীর দেহে ‘অ্যানাফাইল্যাকটোয়েড’ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শরীরে র্যাশ, শ্বাসকষ্ট এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
তবে ফাইজার বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘যারা টিকা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে দু’জনের অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কেন তা হয়েছে, তা জানতে এমএইচএস’র তদন্তে আমরা সব রকম সাহায্য করব। তবে আমরা ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুটি করে পরীক্ষামূলক ডোজ দিয়েছিলাম। তাদের কারোরই কোনও বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া হয়নি।’
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ