শীতকালে অন্যান্য অনেক সমস্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যা। কেবল মেয়েদেরই নয়, এই সমস্যা ছেলেদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। শুষ্ক আবহাওয়া এবং পায়ের পাতার যে অংশে চাপ বেশী পড়ে সেই অংশ ফেটে যায়। অনেক সময় পা ফাটলে পা ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করে, হাঁটতে সমস্যা হয়।
এই সমস্যা নিরাময়ের জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। উষ্ণ গরম জলে এক বা দুই টেবিল চামচ ভিনেগার দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখবেন। একটু শ্যাম্পু দিলে আরো ভালো। পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পা ঘষার পাথর দিয়ে ঘষবেন। এরপর ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও তেল
পা ফাটা রোধের সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে প্রাকৃতিক স্ক্রাবের ব্যবহার। ঘরোয়াভাবে তৈরি এই স্ক্রাবটি প্রতিদিন ব্যবহার করে খুব দ্রুত পা ফাটা রোধ করতে পারবেন।
আরও পড়তে পারেন-
- তালাকের পর তাওবা পড়ানো হলে পুনরায় সংসার করা যাবে কি না?
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- আক্বায়েদ ও আমল সম্পর্কে গায়রে মুক্বাল্লিদদের পারস্পরিক মতভেদ
- ইতিহাসে মুসলিম নারীদের অমর কীর্তি
- পি কে হালদারের আড়ালের গুরু ও মাফিয়া পতন কাহন
স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২/৩ চা চামচ চাল, সাদা ভিনিগার ও মধু। প্রথমে চাল একটু ভিজিয়ে রেখে পিষে নিন। একটু দানা দানা করে চাল পিষে নেবেন। এরপর এতে পরিমাণ মত ভিনিগার ও মধু দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। একটি বড় পাত্রে উষ্ণ গরম জলে ১০-১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা পায়ে ঘন পেস্টটি ভালো করে মাসাজ করুন। রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। তারপর খানিকটা অলিভ অয়েল গরম করে নিয়ে পায়ে মাসাজ করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জল
একটি বড় পাত্রে ২ লিটার গরম জল নিয়ে তাতে ১ চা চামচ নুন, ১টি গোটা লেবুর রস, ১ কাপ গোলাপ জল দিয়ে এতে পা ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর পায়ের গোড়ালি ভালো করে ঘষে মরা চামড়া তুলে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে পায়ে লাগান। এভাবে রেখে দিন পুরো রাত। সকালে উঠে উষ্ণ গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পা ফাটা কমে যাবে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ