বাজারে সহজে পাওয়া মাউথওয়াশ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
নুন্যতম ০.০৭ শতাংশ সেটিপিরিডিনিয়াম ক্লোরাইড (সিপিসি) উপাদান যুক্ত মাউথওয়াশ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত’ দিয়েছে বলে তারা গবেষণা নিবন্ধে উল্লেখ করেন।
গবেষণাটি অবশ্য এখনও অন্য বিজ্ঞানীদের পর্যালোচনাধীন। তারপরও, প্রাথমিক ফলাফলটি বিশ্লেষণে টিকে গেলে মহামারির কালে সুরক্ষিত থাকার নতুন সম্ভাবনা যোগ হবে।
এই সম্ভাবনা বেশ জোরালোই বলা যায়। কারণ; সাম্প্রতিক গবেষণাটি গত সপ্তাহে প্রকাশিত আরেক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ফলাফলকে সমর্থন করছে। সিপিসি সমৃদ্ধ মাউথওয়াশ ব্যবহারে আক্রান্তদের দেহে ভাইরাসের পরিমাণ কমে, সেখানেও এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।
বিপণীকেন্দ্রের প্রচলিত ভোগ্যপণ্যটির এমন উপযোগীতা খতিয়ে দেখতে অচিরেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কার্ডিফে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব ওয়েলস। এই ট্রায়ালের ফল ২০২১ সালের শুরুর দিকে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
ট্রায়ালে যুক্তরাজ্যের বাজারে সহজলভ্য ‘ডেন্টিল’ ব্রান্ডের মাউথওয়াশ রোগীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। বিদেশি কিছু ব্রান্ডও অবশ্য থাকবে। এগুলো ব্যবহারে রোগীর মুখের লালায় করোনাভাইরাসের পরিমাণ কমে কিনা- সেটাই নিরূপণ করবেন বিজ্ঞানীরা।
ট্রায়ালে নেতৃত্ব দেবেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড থমাস।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট তার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ”পূর্ববর্তী যেসব গবেষণাগুলো খুব ইতিবাচক ফল দিয়েছে। সেগুলো আরো প্রমাণের জন্য এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করা প্রয়োজন।”
থমাস আরো বলেন, ”বাজারে সহজে পাওয়া মাউথওয়াশ ল্যাবরেটরির পরিবেশে যেভাবে করোনা মোকাবিলা করতে সফল হয়েছে, সেই প্রভাব কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যেও ফেলতে পারবে কিনা- তা জানার জন্যেই আমরা ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, ২০২১ সালের প্রথমদিকে আমরা এর ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।”
সতেজ নিঃশ্বাসের সাথে নতুন সম্ভাবনা!
”শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত হাত ধোঁয়া ও মাস্ক পড়ার মতো মাউথওয়াশও করোনাভাইরাস মোকাবিলার এক গুরুত্বপূর্ণ উপায় হয়ে উঠবে” বলে জানান দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিক ক্লেডন। তার মতে বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও সুরক্ষাটি জীবাণু প্রতিরোধে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বছরের শেষদিকে এসে টিকা নিয়েও সফলতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত সোমবারই মডের্না তাদের প্রার্থী টিকা প্রায় ৯৪.৫% সফল বলে ঘোষণা দেয়। তার আগে আরেক ফার্মা জায়ান্ট ফাইজারও জার্মানির বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে উৎপাদিত টিকার ট্রায়ালে ৯০ শতাংশের বেশি সাফল্যের কথা জানিয়েছিল। সূত্র: আল জাজিরা।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ