ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন অপকর্ম করলে রাষ্ট্রীয়ভাবেই এর প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে এখনো কেন সরকারীভাবে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাংলাদেশে ফ্রান্সের দূতাবাস থাকুক, দেশের একজন মুসলমানও চায় না। অতএব, ক্ষমতায় থাকলে চাইলে ক্ষমতাসীনদের মুসলমানদের হৃদয়ের কথা বুঝতে হবে, তাদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। অন্যথায় তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অবিলম্বে ঢাকা থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা ফ্রান্স দূতাবাসের প্রতিটি ইট খুলে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজ মুসলমানদের পক্ষে, মহানবীর (সা.)-এর পক্ষে কথা বললে আমাদেরকে জঙ্গী বলা হয়। যদি নবীর পক্ষে কথা বললে জঙ্গী হতে হয়, তাহলে মহানবী (সা.) সম্মান রক্ষায় আমরা জঙ্গী হতে প্রস্তুত।
আজ বুধবার দুপুর দুইটায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
সমাবেশে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করেছে। সরকারীভাবে ঘোষণা চাই, ফ্রান্সের কোন পণ্য বাংলাদেশে চলবে না, চলতে দেয়া হবে না। আগামী সংসদ অধিবেশনে ফ্রান্সে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী সংসদে যেতে পারবেন না। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও মুসলিমবিশ্বকে ফ্রান্সের সাথে সব ধরনের কুটনৈতিক সম্পন্ন ছিন্ন করে মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালবাসা প্রকাশের আহবান জানান।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী রহ.-এর ছেলে মাওলানা ওবায়দুল হক, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানি, মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মুফতী আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মুফতী নাসির উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা রহমতুল্লাহ বুখারী, মুফতী এনামুল হাসান, মাওলানা নুরুজ্জামান, ছাত্রনেতা আবুল হাশিম শাহী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে পল্টনমোড়ে ফ্রান্সের পতাকা ও ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর কুশপুত্তলিকা পুড়ানো হয়।
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি