আল আমীন: ধর্ষণ, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং জেনা-ব্যভিচার প্রতিরোধে সমমনা ইসলামী দলসমূহ ৬ দফা দাবীতে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে এক বিশাল গণমিছিল বের করে বিজয় নগর মোড়ে বিশাল সমাবেশ করেছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এতে সমমনা দলসমূহের শীর্ষ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ধর্ষণ ও জেনা-ব্যভিচার প্রতিরোধে আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং এই অনাচারের উৎস বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের মতো ধর্ষণের মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামি দলসমূহ, আলেম উলামা, সর্বস্তরের জনতা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। সরকার একটি বিল পাশ করিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, মৃত্যুদন্ডের আইন করাই যথেষ্ট নয়, বার বছর ষোল বছর লেগে যায় বিচার কাজ সম্পাদন করতে। এই ভাবে চলবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, চার মাসের ভিতরে এ আইনকে প্রয়োগ করতে হবে। বিচার শেষ করতে হবে। প্রকাশ্যে শাস্তি প্রদান করতে হবে। ধর্ষণ বন্ধ করতে চাইলে বন্ধ করতে পর্ণগ্রাফি।
ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, আজকে সারা দেশে মহামারির আকার ধারণ করেছে পর্ণগ্রাফি। এই পর্ণোগ্রাফি কঠোর হাতে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পর্ণোগ্রাফি, দেহ-ব্যবসা, অশ্লিলতা অবিলম্বে বন্ধ না করলে ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না। তাই আমরা বলি- ধর্ষণ বন্ধ করতে চান নাকি বিচার কার্যকর করতে চান ।যদি বাস্তবিকই ধর্ষণ বন্ধ করতে চান, তাহলে সবার আগে পর্ণোগ্রাফি বন্ধ করতে হবে। তার সঙ্গে মাদকের ব্যবসাও মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটাকেও বন্ধ করতে হবে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, আমরা জানি, সরকার চেষ্টা করছে, কিন্তু বন্ধ করতে পারছে না। কারণ, পুলিশের কাছেও মাদক পাওয়া যায়। এই ভাবে হবে না, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত ভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যাবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ