বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী নোয়খালী বেগমগঞ্জ এলাকার নিরীহ এক গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা মহামারি আকার ধারণ করেছে। এধরনের জঘন্য অপরাধ জাহিলী যুগের সকল বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। আজ দেশের মানুষের জান- মাল ও ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা নেই। ধর্ষকদের দ্রুত কঠিন বিচার না হওয়ার কারণে নতুন ভাবে সারাদেশে প্রতিদিন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- কাশ্মীরীরা নিজেদের ভারতীয় মনে করে না, তারা ভারতীয় হতে চায় না
- আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.): কিছু কথা, কিছু ব্যথা
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- ‘গ্যাং’ কালচারের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সময়ের দাবী
তারা বলেন, অনেক জায়গায় ধর্ষনকারীরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার হওয়ায় নির্যাতিতরা প্রাণের ভয়ে বিচারপ্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছে না। সংবাদ পত্র ও মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী অধিকাংশ খুন, ধর্ষণ ও নারী নির্যতনের সাথে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়িত। অপরাধীদের কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও দলীয় নেতাদের সুপারিশে ছাড়া পেয়ে অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ধর্ষণ বন্ধে কুরআনের আইনের বিকল্প নেই। তারা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে শরিয়াহ বোর্ড কায়েম করে অপরাধে জড়িতদের কুরআনের আইনে দ্রুত বিচার কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। তা না হলে ধর্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি