চাঁদে আবার মানুষের পা পড়বে। এবার এক নারীর। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আসবে ২০২৪ সালে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এ বার চাঁদের সাউথ পোলে নামবে চন্দ্রযান।
নাসার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ”আমরা আবার চাঁদে যাচ্ছি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য। নতুন প্রজন্মের অভিযাত্রীরা এই অভিযানে প্রেরণা পাবেন।”
এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা। মার্কিন কংগ্রেসকে এই বাজেট অনুমোদন করতে হবে। আবার চাঁদে যাওয়াটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছেও অগ্রাধিকার বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন-
- গুজব ছড়ানো মিথ্যার সমপর্যায়ের কবীরা গুনাহ
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্র সংকুচিত করছে করোনা
- ফেরাউনি জমানার পাপাচার এবং মহামারির ইতিবৃত্ত
নাসা জানিয়েছে, এই বড়দিনের মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের অনুমোদন দিতে হবে। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ল্যান্ডিং মডিউলের জন্যই লাগবে ১৬০ কোটি ডলার।
এই প্রকল্পের কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে নাসা মানবহীন একটি যান পাঠাবে ২০২১ সালে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে যাবেন মহাকাশচারীরা। এই চন্দ্রাভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস।
এই অভিযানের বৈশিষ্ট্য হলো, এই প্রথম একজন নারী চাঁদে যাবেন। আর এই প্রথম চাঁদের সাউথ পোলে গিয়ে পরীক্ষার কাজ চালানো হবে।
এর আগে ১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালে চাঁদে নেমেছিল মহাকাশযান অ্যাপোলো। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ”আগের অভিযান থেকে এই অভিযান সম্পূর্ণ আলাদা। আগে মনে করা হতো, চাঁদ পুরোপুরি শুকনো। কিন্তু এখন আমরা জানি যে, চাঁদে বরফ আছে, সেটাও সাউথ পোলে।”
চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আমস্ট্রং। তারপর চাঁদে পা রেখেছিলেন এডউইন অ্যালড্রিন। সেই ১৯৬৯ সালে। চাঁদে পা রাখার পর আমস্ট্রং বলেছিলেন, ”আ জায়েন্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।” এ বার চাঁদে পা রাখবেন একজন নারী। এটাও নিঃসন্দেহে মানবসভ্যতাকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। –জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি