বোরকা পরা মা এবং পুত্রের ক্রিকেট খেলার ছবিটি আমাকে দারুনভাবে আপ্লুত করেছে । এখানে একজন সচেতন মায়ের স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি। একজন সচেতন মা হিসেবে সন্তানকে খারাপ ছেলেদের সাথে মিশতে না দিয়ে নিজেই সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করছেন। মাঠে ছেলের খেলার সাথী কেউ না থাকায় তিনি নিজেকেই ছেলের বন্ধু হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। এতে আমি খারাপ কিছুই দেখছি না।
ছবিটিতে ছেলের মধ্যে যে আনন্দকর অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে, তাতে আমি আনন্দিত। ছেলেটির হাত, পা, উঁচু করে ধরা দুটি আঙ্গুল অনেক কিছুই ইঙ্গিত করে। একজন মা সন্তানের আনন্দের ভাগীদার হতে চান। সন্তানকে আনন্দ দিতে চান। বিষয়টা আমি এমনই মনে করি। এটা ছিল একান্তই সাময়িক একটি ঘটনা। এর সাথে ধর্ম এবং নারীবাদ গুলিয়ে ফেলা কোনোভাবেই উচিত নয়।
আরও পড়তে পারেন-
- ‘ফেসবুক ক্যাম্পাস’ শিক্ষার্থীদের জন্য ফেসবুকের নতুন ফিচার
- গায়ে আগুন লাগলে সাথে সাথে যে পাঁচটি কাজ করা জরুরি
- মুসলিম হয়েও যারা নবী (সা.)এর উম্মত নয়
- প্রমাণ ছাড়া শুধু অনুমানে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় কী ?
- সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের মুসলিম বিদ্বেষী অনৈতিক অবস্থান
বোনটির অপরাধ বোরকা পরা। তা না হয়ে যদি হাফপ্যান্ট পরে খেলতো, তাতে হয়তো আমরা কিউ কিছু বলতাম না। এই হলো আমাদের চিন্তা। কী হতাশাজনক আমাদের মানসিকতা। এটা স্রেফ একটি আকস্মিক ঘটনা। বোরকাটা যেন সবার মধ্যেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
যেই পত্রিকা ছবিগুলো প্রকাশ করেছে তাদের উদ্দেশ্যেও যে মহৎ না, এটাও আমাদের কাছে পরিষ্কার। এর ওপর কেউ বলছে, বোরকা পরে ক্রিকেট মাঠে, আবার সন্তানকে হাফেজও বানাতে চায়! উনার সাহসতো কম না! আবার একদল বলছে, ক্রিকেটই যখন খেলবা তাহলে লেংটা হয়েই আসো। আমাদের দলে আসো। উভয় চিন্তাই এক ধরণের প্রান্তিকতা।
এভাবে মেয়েদের কোন প্রকার ক্রিকেটের পক্ষে আমি না। আমি এটা পছন্দও করি না। এটাকে আমি স্বাগতও জানাই না। এটা পুরোই একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা বলেই আমি মনে করি। এটা আমাদের কাছে কোন মডেল না। তবে এ ঘটনায় ইসলামের একেবারে সবকিছু চলে গেছে সেটাও মনে করি না।
– সৈয়দ শামছুল হুদা, সম্পাদক- নূরবিডি.কম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ