নিজস্ব প্রতিনিধি :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সকল প্রকার মানবিক আচরণকে ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট করে দেখা হয়েছে তাই মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত মানুষই মু‘মিন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
আজ সোমবার চরমোনাই মাদরাসায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মাদরাসার শিক্ষক মন্ডলি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।ৎ
চমোনাই পীর বলেন, মানুষের ভিতর আল্লাহভীতি ও মানবিক মূল্যবোধ না থাকায় ক্রমেই অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে। ফলে বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও মানুষের ভিতর তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ আগের মতই চলছে। মানুষের মধ্যে কোন অনুতপ্ত, অনুশোচনা নেই।
আরও পড়তে পারেন-
- মহামারিকালেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তনীয় থাকে কীভাবে?
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর যুগান্তকারী ভূমিকা
- পাকিস্তান-ভারত-শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে ট্রেনের ভাড়া বেশি
- হাদীসের আলোকে শ্রেষ্ঠ মানুষের ১০ বৈশিষ্ট্য
- রোহিঙ্গা সঙ্কটের ভিত্তিমূল অনেক গভীরে
তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজন আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত করা। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। একজন মানুষের মধ্যে উদার, সার্বজনীন, মানবতাবাদী, মানবিক ও সাম্যভিত্তিক গুণগুলো থাকা প্রয়োজন। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। বিশ্বাস, আমল-আখলাক, আচার-ব্যবহার, জীবন ধারণ, জীবন-মনন, শাসন পদ্ধতি, অর্থনীতি, রাজনীতি প্রভৃতি জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট ঐশী বিধান ও মহানবীর (সা.) সর্বোত্তম জীবনাদর্শানুযায়ী ইসলামকে অনুসরণ করা। ইসলামের সকল ব্যবস্থা মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্যে। কোনো মুসলমানের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, তিরস্কার ঘৃণা, জুলুম, অপবাদ দেয়া, পরন্দিা, অহংকার, কুচিন্তা, কুধারণা, কারো ক্ষতি করার মানসিকতা থাকতে পারেনা।
ইসলামী আন্দেলনের আমীর বলেন, মুসলমানের জীবন মানুষের জন্যে নিবেদিত। মুসলমান পারস্পরিক দয়া, সহানুভূতি এবং সম্প্রীতির মধ্যে দেখতে পাবে। মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গি শুভ ও কল্যাণ দ্বারা পরিপূর্ণ। ইসলামে বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশির প্রতি আচরণের খুব গুরুত্ব রয়েছে। আশপাশের লোকদের সাথে আচরণের মাধ্যমেই একটি লোককে চেনা যায়। অপরের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমেই আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভ করা যায়। ##
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি