উম্মাহ অনলাইন: কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি পড়ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টি নামলেই বাড়ে ছত্রাকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নখের কোণে সমস্যা থেকে চর্মরোগ, সবকিছুর পেছনেই অনেক সময় থাকে ছত্রাক। চলুন জেনে নিই, এসব সমস্যা সমাধানের কিছু পরামর্শ:
দাদ: চামড়ার ওপর গোল চাকার মতো লালচে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয় এই রোগে। ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। ঘাড়, পায়ের পাতা, বগলে এ ধরনের ক্ষত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে হবে। ক্ষতস্থানে কাটাছেঁড়া করা যাবে না। অ্যান্টি ফাংগাল ক্রিম লাগাতে হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- কওমি মাদরাসার পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার
- কোমরে বেঁধে পেটানো সেই মা-মেয়ের জামিন
- বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে ভারতের বিশেষ মনোযোগের কারণ
- স্রেব্রেনিৎসার ৮ হাজার মুসলিমকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল
- সর্বস্তরে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা শাসকের অপরিহার্য কর্তব্য
অ্যাথলেট ফুট: এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। সাধারণত পায়ের পাতা কিংবা দুই আঙুলের মাঝখানে চুলকানি বা জ্বালা অনুভূত হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সমস্যার ক্ষেত্রে পা সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। অ্যান্টি ফাংগাল ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে এবং খোলা জুতা পরতে হবে।
একজিমা: ত্বকে জ্বালা, ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি এগুলো একজিমার লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে নারকেলের তেল লাগালে আরাম পেতে পারেন। এ ছাড়া সব সময় সুতির কাপড় পরার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
টিনিয়া ক্যাপিটিস: এই রোগে মাথার ত্বকে দাদ হয়। তবে এই ছত্রাকজনিত রোগের ফলে ক্ষতস্থান দেখা যেতে পারে ভুরু ও দাড়িতেও। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিকে সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ। এমনকি তোয়ালে, চিরুনি, টুপি, বালিশের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। অ্যান্টি ফাংগাল শ্যাম্পু এ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ