উম্মাহ ডেস্ক:
এডিস নিয়ন্ত্রণে এবার মশা ছাড়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফ্লোরিডায় ৭৫ কোটিরও বেশি জিন বদলে দেওয়া মশা ছাড়ার পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সিএনএন জানায়, অনেক স্থানীয় বাসিন্দার আপত্তি ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর জোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও শুক্রবার ফ্লোরিডায় এই পরিকল্পনাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত মে মাসে মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা এডিস এইজিপ্টি মশা নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক স্প্রে করার বদলে বিকল্প হিসেবে জিন বদলে দেওয়া মশা কার্যকর কি না, পরীক্ষার জন্য ‘পাইলট প্রজেক্ট’ এর অনুমতি দেয়।
এডিস মশার একটি প্রজাতি মানুষের মধ্যে জিকা, চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও পীতজ্বরের মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে মূল ভূমিকা রাখে। কেবল স্ত্রী মশা মানুষকে কামড়ায়; তাই জিন বদলে দেওয়া পুরুষ এডিস মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- ফেসবুক হ্যাক হওয়া ঠেকাতে যা করতে হবে
- ‘দেশবাসীর সন্দেহ দূর করতে শ্রিংলার সাথে বৈঠকের সবিস্তার প্রকাশ করতে হবে
- ইসলামে অহেতুক বাড়াবাড়ির কোন সুযোগ নেই
- নতুনধারার এক রাজতন্ত্রে প্রবেশ করলো শ্রী লঙ্কা
- রেড মিট বা লাল মাংস: মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর?
জিন বদলে দেওয়া এসব পুরুষ মশার সঙ্গে স্ত্রী মশার মিলনে যে স্ত্রী মশা জন্মাবে, সেগুলো মানুষকে কামড়ানোর মতো বয়সে আসার আগেই মারা যাবে এবং যেসব পুরুষ মশা জন্মাবে সেগুলোর মধ্যেও বদলে দেওয়া জিন থাকবে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে স্ত্রী এডিস মশার সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্রিটিশ-ভিত্তিক সংস্থা অক্সিটেক ওই জেনেটিক্যালি মডিফায়িড অর্গানিজম (জিএমও) তৈরি করেছে। জিন বদলে দেওয়া মশা ছাড়ার পরিকল্পনার বিরোধীতা করে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড সেন্টার ফর ফুড সেফটি সংগঠনের পরিচালক জেইডি হ্যানসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের দেশ ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য এখন কোভিড-১৯ মহামারি, বর্ণবাদ ও বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি। অথচ প্রশাসন আমাদের ট্যাক্সের পয়সা ও সরকারি সম্পদ ব্যবহার করছে “জুরাসিক পার্ক এক্সপেরিমেন্ট” এর জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা কি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত? আমরা তা জানি না। কারণ, ইপিএ অবৈধভাবে পরিবেশগত ঝুঁকি বিবেচনা না করেই, গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ না করেই এটা করেছে। এখন ঝুঁকির ব্যাপারে পর্যালোচনা ছাড়াই এটা বাস্তবায়ন করা হবে।’
ব্রাজিলে এ জিন বদলে দেওয়া মশা ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে অক্সিটেক।
আগামী বছরের শুরুতে টেক্সাসেও এই ধরনের মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ##
উম্মাহ২৪ডটকম:এফইউবি