জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, অন্যয়ভাবে ভারত সরকার সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের মানবিক ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদেরকে জান-মালের নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। একটি ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে কাশ্মীরবাসীকে ভারত সরকার অধিকারহারা করে দসত্বের শিকল পরাতে চায়। আমরা কাশ্মীরী জনতার মর্যাদা অধিকারবিরোধী ভারত সরকারের উদ্যোগ, ষড়যন্ত্র এবং দমন-পীড়নের তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
আজ (১৬ আগস্ট) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সর্বদলীয় কাশ্মীর সংহতি ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, মোদি সরকারকে অনতি বিলম্বে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বহাল করে কাশ্মীরি জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা দিতে হবে। তাদের মা বোনদের আব্রু-ইজ্জত হেফাজতের নিশ্চয়তা দিতে হবে। অন্যথায় কাশ্মীরবাসী আজাদী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। আর বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ কাশ্মীরবাসীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পাশে আছে ও থাকবে। কাশ্মীরবাসীর উপর কোন ধরনের জুলুম-নির্যাতন এবং অধিকার কেড়ে নেওয়া সহ্য করা হবে না।
মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী, আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবীব, নেজামে ইসলাম পার্টির সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের অধ্যাপক হাসান মোস্তফা, ফরায়েজী আন্দোলনের মহাসচিব ডা. আযীযুর রহমান হেলাল, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মুফতী শরীফুল্লাহ, মাওলানা মুফতী ফখরুল ইসলাম প্রমূখ।
আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী বলেন, মোদী সরকার! কাশ্মীরিদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করুন। নতুবা সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো ভারত টুকরা টুকরা হয়ে যাবে।
আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ভারতের আগরতলা বিবানবন্দরের জন্য বি-বাড়ীয়ার জমি নেওয়ার আবদার করাকে আমি মনে করি আমাদের সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহি:প্রকাশ। আমরা বি-বাড়ীয়ার বীরজনতা প্রতিবাদ প্রতিরোধের মাধ্যমে এই অনৈতিক আবদার কঠিন হস্তে রুখে দিবো, ইনশাল্লাহ। -বিজ্ঞপ্তি। j