হাসান আল মাহমুদ: পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদিনার মসজিদে নববীতে ১০ রাকাত তারাবি পড়ার সিদ্ধান্তকে ষড়যন্ত্র হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদের খতিব বরেণ্য আলেম ও শীর্ষ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক।
তিনি বলেছেন, মসজিদে নববী ও মসজিদুল হারামে ২০ রাকাত তারাবিই পড়ে আসা হয়েছে, যুগ যুগ। করোনাকালীন সময়ে লম্বা সময় মসজিদে থাকা বিশ্বব্যাপী একটা আতঙ্ক ছিল। তখন ওজরের কারণে ১০ রাকাত তারাবির সিদ্ধান্ত দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। ১০ রাকাত পড়ে বাকি নামাজ ঘরে গিয়ে পড়ার কথা হয় সেসময়। কিন্তু এখন তো সে ওজর নাই, সেখানে ১০ রাকাত তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত একটা ষড়যন্ত্র। কে করেছে জানি না।
শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজ পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন খতিব।
আরও পড়তে পারেন-
- সাদকায়ে ফিতরের মাসাইল
- রমজানে মুমিনের প্রতিদিনের আমল
- মাহে রমযানের সিয়াম সাধনা ও তার আহকাম
- রমযান মু’মিনের জন্য কী প্রতিফল বয়ে আনে?
- ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক
এসময় দেশের শীর্ষ এই মুফতি দেশে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা বাংলাদেশের তাওহিদী জনতার পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি। সৌদি দূতাবাস আমাদের এ দাবি পৌঁছিয়ে দিক হারামাইনের কর্তৃপক্ষ ও সৌদি সরকারের কাছে। ১৪০০ বছর যাবত মসজিদে হারাম ও নববীতে ২০ রাকাত তারাবি চলে আসছে, সেই ২০ রাকাত তারাবির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জোর দাবি আমাদের।
খতিব আশংকা প্রকাশ করে বলেন, এখন যদি আমরা সতর্ক না করি, তাহলে সামনের প্রজন্ম তো বলে বসবে, আমরা ওমরায় গেছি, সেখানে ১০ রাকাত তারাবি পড়তে দেখেছি। মক্কা-মদিনাকে তারাবি ১০ রাকাতের দলিল হিসাবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে তারা।
খতিব বলেন, ওরা (মসজিদে হারাম ও নববীর কর্তৃপক্ষ) যদি সংশোধন করে নেয়, ২০ রাকাত তারাবি ফিরিয়ে আনে, তাহলে ভালো। আর যদি ফিরিয়ে না আনে, তারাবি নামাজকে ২০ থেকে কমিয়ে ৮ কিংবা ১০ রাকাতের সিদ্ধান্তেই পড়ে থাকে, তাহলে তা বেদআত। আমরা এ বেদআত সংশোধনের জন্য জোর দাবি জানাই।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ