Home অপরাধ ও আইন-আদালত আইনশৃঙ্খলায় অস্বস্তি, গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন

আইনশৃঙ্খলায় অস্বস্তি, গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন

ওয়াসিম সিদ্দিকী: অস্থিরতা পিছু ছাড়ছে না অর্ন্তবর্তী সরকারের। দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় সাত মাসে বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্র ও উসকানিমূলক তৎপরতা দেখা গেছে। গার্মেন্টস শিল্পে নৈরাজ্য থেকে শুরু করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আকস্মিক শাহবাগ অবরোধ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্র, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের দেশবিরোধী তৎপরতা, আনসার বিদ্রোহের নামে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ছিল পরিকল্পিত ও পূর্ব ঘোষিত।

বর্তমানে একের পর এক মব সৃষ্টির নামে আওয়ামী ক্যাডাররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে নেমে পড়েছে। কিন্তু আগাম তথ্য দিতে পারছে না গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ফলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যতটা সক্রিয় থাকা দরকার ছিল, সেটি দেখা যাচ্ছে না।

কিছু ভুক্তভোগী আছে, যারা সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী জাহিলিয়াতের সময় নানাভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত এবং বঞ্চিত হয়েছেন। তারা নানা দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন, আন্দোলন করছেন। এই সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিস্টের দোসররাও। একের পর এক আন্দোলনের নামে অস্থির করে রাখা হচ্ছে রাজপথ। ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার অনুসারীদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে।

এসব অপতৎপরতার কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আগাম সতর্ক করতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এতে সংস্থাগুলোর প্রতি ক্ষোভ রয়েছে খোদ সরকারের। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিত্যকার সংঘটিত আন্দোলনগুলোসহ যে কোনো অস্থিরতার ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে ব্যর্থ, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

এসব বিষয় নিয়ে দুই মাস ধরে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলোর মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় দায়িত্ব পালন করা মাঠ পর্যায়ের কমান্ডের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গেও। প্রায় সবাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কেউ কেউ বলেছে, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ই নেই।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সর্বস্তরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে। বিশেষ করে উপপরিচালক পর্যায়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি। পরিচালক পর্যায়েও রয়েছে বেশ কয়েকজন। পুলিশের এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কেন কাজ করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কয়েকদিন আগে একটি সংস্থার ঢাকার প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যর্থতার দায়ে।

জানা গেছে, রীতি অনুযায়ী তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এবং ডিজিএফআই সারাদেশে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিস্তার করে দেশের সার্বিক আইনশঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সরকারকে সহায়তা করে থাকে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত কোনো অস্থিরতার ক্ষেত্রে আগাম তথ্য দিতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও কী করছে সংস্থাগুলো, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা এ পর্যন্ত কোনো গণমাধ্যমকে আলাদাভাবে কোনো বক্তব্য দেননি বলে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীও কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে এনএসআই ও ডিজিএফআই প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করে থাকে। এসবি অনেক প্রতিবেদন সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দেয়। সার্বিক পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা মনে করেন কি নাÑ এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মেদ আমার দেশকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা থাকলেও এখন সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে সংস্থাগুলো।

জানা যাচ্ছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সের উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের বাড়ি ফিরে যেতে নিষেধ করেন গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার অপকর্মের অন্যতম পরিকল্পনাকারী দল হিসেবে খ্যাতি পাওয়া সিপিবির দ্বিতীয় শীর্ষনেতা প্রিন্স। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি জানার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এজেন্সিগুলো এসব রিপোর্ট দিচ্ছে না কেন। তাৎক্ষণিকভাবে একটি গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে জানালে ওই কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে না পারায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

জানা গেছে, রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে লিফলেট বিতরণ করে বেক্সিমকোর কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা গত ২১ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর মাঠে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। শুধু বেক্সিমকো নয়, সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চলেছে একের পর শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অস্থিরতা। অগ্নিসংযোগের হাত থেকে রেহাই পায়নি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের মালিকানাধীন গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডও।

সব ঘটনায় উসকানিদাতা এবং ছদ্মবেশে অশান্তি সৃষ্টিকারী হিসেবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রেই এ পর্যন্ত আগাম তথ্য দিতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য মতে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭০টি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যায়। বিশেষ করে আশুলিয়া ইপিজেড এলাকা, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের উসকে দিয়ে আন্দোলনের পর বন্ধ ঘোষণা করা হয় ৩৩টি কারখানা। সবমিলিয়ে গত কয়েকমাসে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বিভিন্ন কারখানার অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক এখন বেকার।

স্থানীয় এবং বিজিএমইএ সূত্রগুলো বলছে, ৫ আগস্টের পর যেসব কারখানায় নিয়মিত শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়, এগুলোর সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব কারখানার অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ করছে না। অন্য স্থান থেকে বহিরাগতদের এনে তাদের কারখানাগুলোর সামনে বিক্ষোভ, কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগও করা হয়। প্রায়ই ঢাকা-আশুলিয়া, ঢাকা-সাভার এবং ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়ক ও আশপাশের কোনো না কোনো সড়ক-মহাসড়ক বন্ধ করে রীতিমতো অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়।

বিশেষ করে হা-মীম গ্রুপ, মণ্ডল গ্রুপ, ন্যাচারাল ডেনিম, নাসা গ্রুপ, এনভয় গ্রুপ, ডেকো গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, স্টার্লিং গ্রুপের পোশাক কারখানাগুলোতেই শ্রমিক অসন্তোষ বেশি বলে জানা গেছে। কাকতালীয়ভাবে এই গ্রুপগুলোর মালিকপক্ষ বিগত আওয়ামী শাসনামলের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃত্বও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তাদের হাতে ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে।

গত ২২ জানুয়ারি গাজীপুরে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের মালিকানাধীন গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলন করা বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক নামধারীরা। একই দিন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কামরাঙ্গাচালা এলাকায় চীনা মালিকানাধীন ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড নামক ওই কারখানায় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওইদিন চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নির্মাণাধীন ভবনের গেটের ভেতর তিনজন শিশু প্রবেশ করলে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দিয়ে শ্রমিকদের ঘর ও বিভিন্ন অফিস ভাঙচুরসহ সেখানে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়তে পারেন-

গত ২৫ আগস্ট সচিবালয় ঘেরাওয়ের নামে আনসার বিদ্রোহের মাধ্যমে আনসারের পোশাক পরে ছাত্রলীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সচিবালয় ঘেরাও করার নামে সরকার পতনের চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে সে যাত্রায় সফল হয়নি সরকার উৎখাতের চেষ্টাকারীরা।

আনসার বিদ্রোহের পরদিন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি পোস্ট ঘিরে রহস্য দেখা দেয়। ওই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। আলোচনায় ওঠে সরকার পতনের জন্য পরিকল্পিতভাবে আনসার সদস্যদের মাঠে নামানো হয়।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে তার অনুসারীরা। রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় ওই এলাকায়।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের নগরীর জামালখান মোড়ে সম্মিলিত সনাতনী সমাজ-বাংলাদেশ ব্যানারে কার্যত সরকারবিরোধী শোডাউন করে কট্টর হিন্দুধর্মীয় সংগঠন ইসকন। সেখানেও ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

১০ আগস্ট সারাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এসে শাহবাগে সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী হিন্দু সেজে উপস্থিত হয় বলে খবর বের হয়।

২২ নভেম্বর শাহবাগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভর্তি করে কয়েক হাজার নারী পুরুষ আনা হয়। এক থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা দেওয়া হবে বলে বামপন্থি রাজনীতিক আ ব ম মোস্তফা আমীন ছবিসংবলিত একটি লিফলেট পাওয়া যায়।

ওই লিফলেটে মোস্তফা আমীনকে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তিনি বামপন্থি ফরোয়ার্ড পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা বলে সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল।

গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোর। সচিবালয়ের মতো ভিভিআইপি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কীভাবে একই সঙ্গে একাধিক ফ্লোরে আগুন লাগে, তা ধোঁয়াশাই থেকে যায় শেষ পর্যন্ত।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।