চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া গাজা-ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথমপর্যায়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত শনিবার। দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তির বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি। ফলে এরই মধ্যে গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবে হামাস এখন পর্যন্ত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টিতে সম্মতি জানায়নি। হামাস যদি এই প্রস্তাব মেনে না নেয়, তবে তাদের ‘আরো পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। আর এরই অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হামাসের দাবি, দ্বিতীয় ধাপটি মূলত আলোচনা অনুসারে এগিয়ে নিতে হবে। যেখানে প্রথমপর্যায়ের মতো জিম্মি ও ফিলিস্তিনি মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
শুক্রবার রাতে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর, কাতার ও আমেরিকার কাছ থেকে দ্বিতীয় ধাপের কোনো ধরনের ‘গ্যারিন্টি’ ছাড়া প্রথমপর্যায়ের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হবে না তারা। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করবে না। এদিকে, হামাসের মুখপাত্র বলেছেন, নেতানিয়াহুর গাজায় সাহায্য পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আবার তাদের দখলদারিত্বের জঘন্য চেহারাকে প্রকাশিত করেছে। গাজায় ত্রাণ সহায়তা চালু রাখতে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
যদিও উইটকফ তার প্রস্তাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি। ইসরায়েলের মতে, বাকি জীবিত এবং মৃত জিম্মিদের অর্ধেক মুক্তি দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি শুরু করতে হবে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাস ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণের বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন করলে ইসরায়েল অবিলম্বে আলোচনা শুরু করবে। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ১৫ মাসের লড়াই বন্ধ করেছে। এর ফলে মুক্তি পেয়েছেন ৩৩ ইসরাইলি জিম্মি। সেই সঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। এদের মধ্যে পাঁচজন থাই জিম্মি ছিল। বাকি সব জীবিত জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারসহ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ