সাধারণত কেক বা পুডিং তৈরির ক্ষেত্রে চিয়া বীজ ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই সিড দুধ বা পানিতে ভিজিয়ে খেলেই বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। চিয়া সিড ওজন কমায় ঠিকই, কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহারে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
বেশি চিয়া সিড খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফাইবার উপকারী। কিন্তু বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
চিয়া সিড খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া আমবাত, ত্বকে ফুসকুড়ি, চোখ বা গলা চুলকানি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে। যাদের তিল বা সর্ষের বীজে অ্যালার্জি আছে, তারা চিয়া সিড এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
পেট খারাপ হলে কী করবেন, কী করবেন না।
চিয়া সিডে ওমেগা-৩ রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই উপাদান রক্ত পাতলা করে, যা শরীরের পক্ষে ভাল। কিন্তু যারা দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে।
চিয়া সিডে ফাইবার রয়েছে ভরপুর পরিমাণে।ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কিন্তু শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। আবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যেও চিয়া সিড কিন্তু ক্ষতিকর। ইনসুলিন নিলে এই সিড থেকে দূরে থাকাই ভালো।
চিয়া সিড পানি শোষণে সাহায্য করে। অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে আপনার ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই চিয়া সিডের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার বা পানি পান করতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি কেবল সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই যেকোনো সমস্যা বা পরামর্শের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করাই ভালো। সূত্র : নিউজ ১৮।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ