
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে এক বিশাল উলামা ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টা থেকে বোয়ালমারীতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় অর্থসম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী।
বোয়ালমারী উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হোসাইনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, মহানগর সভাপতি মাওলানা মানসুর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “আমাদের এমন নেতা নির্বাচন করা উচিত নয়, যার কাছে আমাদের অধিকার নিরাপদ নয়। একজন বিশ্বস্ত জনসেবক, পরীক্ষিত বন্ধু, যিনি সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবেন—এমন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমন নেতা প্রয়োজন, যার কাছে সাধারণ মানুষের যাওয়া সহজ হবে, যিনি জনগণের কথা শুনবেন, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ না করে প্রকৃত প্রাপ্যদের কাছে পৌঁছে দেবেন”।
তিনি আরো বলেন, “আমরা মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমীকে ফরিদপুর-১ আসনের (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী) জনগণের স্বার্থরক্ষায় একজন বিশ্বস্ত ও জনবান্ধব নেতৃত্ব মনে করি। তাই দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে খেজুর গাছে ভোট দিয়ে মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমীকে পার্লামেন্টে পাঠানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হব। এ আসন আমরা ছাড়ব না, একসঙ্গে থেকে লড়াই করব, ইনশাআল্লাহ। বিপুল ভোটে মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমীকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো যে, সত্যিকারের জনসেবককে নির্বাচিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ নয়”।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় অর্থসম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী বলেন, কোন কাজে যখন ইখলাস থাকে তখন সে কাজ কেউ আটকাতে পারে না। আমাদের প্রত্যেকটা কাজ ইখলাস ও লিল্লাহিয়্যাতের সাথে করা উচিত। যখন ইখলাস ও লিল্যাহিয়্যাতের সাথে চেষ্টা, সাধনা ও পরিশ্রম থাকবে, তখন সে কাজটা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। সবাইকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইখলাস ও তাক্বওয়ার জিন্দেগী অবলম্বন করতে হবে। সাথে সাথে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এই সময়ে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করা না গেলে আগামীর বাংলাদেশে আবারো ফ্যাসিজম জন্ম নিবে।
সমাবেশে বিপুলসংখ্যক ওলামায়ে কেরাম, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল, যা প্রমাণ করে যে জনগণ প্রকৃত নেতৃত্বের জন্য ঐক্যবদ্ধ। বিশাল এ সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করায় বোয়ালমারীর জনগণকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ