সারাদেশে বিভিন্ন উপাসনালয়, প্রতিষ্ঠান ও মাজারে হামলার ঘটনায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদী ভারত সুযোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এমন মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতির এই ক্রান্তিকালে বিশেষত রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের কঠিন সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাজারে হামলার ঘটনার সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রভু আধিপত্যবাদী ভারত। এসব হামলার কারণে তারা এদেশের আলেম-ওলামা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
তারা আরো বলেন, মাজারকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো শরীয়তবিরোধী অপকর্ম বা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চললে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের সহায়তায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পথ বেছে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হামলা করা, সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি কোনোভাবেই নাগরিকদের দায়িত্বশীল মানসিকতার পরিচয় দেয় না।
তারা বলেন, আমরা এ ধরনের হামলা সমর্থন করি না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা রোধে সরকারকে সহযোগিতা করতে আলেম-ওলামা প্রস্তুত আছেন।
তারা যোগ করেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, এ মুহূর্তে গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নাগরিকদের সহযোগিতামূলক আচরণ ও ভূমিকা পালনের পরিবর্তে বিভিন্ন পক্ষ বিভেদ-বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। এর সুযোগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী অপশক্তি ও আধিপত্যবাদী ভারত আবারও মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঠেকিয়ে জুলাই বিপ্লবকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দল-মত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সেইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হলো, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আনফিট ও ব্যর্থ ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অবিলম্বে বিপ্লবের চেতনা ধারণকারী দক্ষ লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ