আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট দু’টি তারিখ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে। তারপরই সংস্কারের কাজ শুরু হবে। যদি নূন্যতম সংস্কার হয় তাহলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। আর যদি আরেকটু বেশি সংস্কারের দরকার হয় তাহলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি সরকারপ্রধান নিজেও বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। তবে ভোটের তারিখ কবে হবে সেটি নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর।’
এই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না। এটা সরকারে কঠোর ও স্পষ্ট অবস্থান।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
ক্লিন ইমেজের কেউ যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে চায় তাহলে তাদের নিজ দলের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে ফিরতে হবে। দলের অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে রাজনীতিতে ফিরতে হবে, যুক্ত করেন তিনি।
জয়পুরহাটে নারী ফুটবল খেলা বন্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রেস উইংয়ের সদস্য আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘মেয়েদের ফুটবল খেলাকে প্রমোট করতে চায় এই সরকার। ওই ঘটনাকে সরকার খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধান চায় সরকার।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে নতুন নীতিমালার সুপারিশও করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এছাড়া সমসাময়িক নানা ইস্যুতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয় প্রেস উইং।
সূত্র- বিবিসি
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ