বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতিনিধি রেখে ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে এলে সেটা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মানবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রক্রিয়া জানান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এরপরই এই ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম লিখেছেন, ‘নাহিদ ইসলাম এর আজকের পোস্টটা দিনে ৩বার করে আগামী ৭দিন পড়বেন। অবশ্যই পড়বেন।’
অন্যদিকে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তুলনা দেওয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘নাহিদের সাথে ওবায়দুল কাদেরের যারা তুলনা করছেন, নাহিদের রক্তজমা নিতম্বটা আপনাদের হওয়া উচিত ছিলো।’
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
এর আগে বিএনপি মহাসচিবের এই ‘নিরপেক্ষ সরকার’-এর দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে নিজের ফেসবুক পেজে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিলো। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কে দুর্বল করা সহজ কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ