বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার দায়ে গাজায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। স্থানীয় জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘গাজা নাউ’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ‘গাজা নাউ’ টিভির ১৭ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। সেখানেই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে তারা। এতে দেখা গেছে, হামাসের কয়েক ডজন যোদ্ধা, যাদের অনেকের গায়ে পোশাক ছিল, তারা মাটিতে শুয়ে থাকা তিনজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন। এই তিনজনের সবাই ফিলিস্তিনি। কিন্তু গত ১৫ মাস গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে বর্বরতা চালিয়েছে, এতে সহযোগিতা করেছেন তারা।
ভিডিওটির শিরোনামে লেখা হয়েছে, “ইহুদিবাদী দখলদারদের এজেন্টদের শাস্তি দেওয়ার মুহূর্ত। যারা আমাদের কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে।”এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যারা কাজ করে বা কোনো ধরনের সহযোগিতা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে হামাস। এর সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। আর এসব দোষীদের দণ্ড প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে কার্যকর করা হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন অসংখ্য ইসরায়েলি সহযোগীদের গুলি করে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।গত রোববার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন হয়। এরপর আবারও প্রকাশ্যে আসা শুরু করে হামাসের যোদ্ধারা। এমনকি যদ্ধবিরতির পরপরই হামাস সরকারের পুলিশ সদস্যদের পোশাক পরা অবস্থায় গাজার বিভিন্ন সড়কে দেখা যায়। সেখানে ট্রাফিক থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন তারা।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটি তিনটি ধাপে সাজানো হয়েছে। প্রথম ধাপের মেয়াদ ৪২ দিন। এ সময়ের মধ্যে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে বন্দি দেবে। এই প্রথম ধাপের ১৬তম দিন থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা। যদি এটি সফল হয় তাহলে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দেখা যাবে।
সূত্র-গাজা নাউ
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ