দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাসের পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা এবং সামরিক অভিযানের কারণে উত্তেজনা বিরাজ করছে।মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। একই সময়ে, মানবিক সহায়তা গাজায় পৌঁছাতে শুরু করেছে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষদের।
রবিবার(১৯জানুয়ারি) রাতে জেরুজালেমের উত্তরে পশ্চিম তীরের দুটি গ্রামে ইসরায়েলি বসতকারীরা হামলা চালায়। এই হামলায় ফিলিস্তিনি বাড়িঘর, একটি শিশুদের স্কুল এবং স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে,এই হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বসতকারীদের এই সহিংসতায় সমর্থন দিয়েছে।
এই সহিংসতার মধ্যে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে রাতভর সামরিক অভিযান চালিয়ে বহু ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছিল।
গাজার পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির মধ্যেও শান্ত নয়। দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। তবে, জাতিসংঘের সমন্বয়কারী সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার(২০জানুয়ারি) ৯১৫টি ত্রাণ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য একটি বড় সাহায্য।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪৭,০৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১১,০৯১ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ অপহৃত হয়েছেন।
যদিও যুদ্ধবিরতি কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে, কিন্তু সহিংসতা এবং সামরিক অভিযান বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা একটি বড় সহায়ক উদ্যোগ হলেও, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক ও কার্যকর পদক্ষেপ অপরিহার্য।
সূত্র-আল-জাজিরা
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ