বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার মো. নুরল ইসলামকে তলব করেছে ভারত।
গতকাল রোববার একই ইস্যুতে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর একদিন পর বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করা হলো।
গতকাল বিকেল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ে আসেন প্রণয় ভার্মা। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন তার কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন।
আধাঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠকের পর গতকাল প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ভারতের বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে কাজ করবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে ভারতের অঙ্গীকারের বিষয়েও আলোচনা করেছিলেন হাইকমিশনার। তিনি বলেছিলেন, ‘এতে দুই দেশের সীমান্তে থাকা প্রতিকূলতাগুলো কার্যকরভাবেই সমাধান হবে।’
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ ধরনের কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপ, সীমান্তে উত্তেজনা ও ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ— দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হবে।’
সুনামগঞ্জে বিএসএফ কর্তৃক সম্প্রতি একজন বাংলাদেশী নাগরিকের হত্যার কথা উল্লেখ করে, পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন সীমান্তে হত্যার পুনরাবৃত্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং এই সমস্ত সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রসচিব ভারত সরকারের প্রতি এও আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ভারতের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে এমন কোনও উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন, যা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ