Home জাতীয় খালেদা জিয়াকে বরণে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য বিএনপি

খালেদা জিয়াকে বরণে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য বিএনপি

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উজ্জীবনা বিরাজ করছে যুক্তরাজ্য বিএনপিতে। প্রিয় নেত্রীকে দেখার জন্য দলের নেতাকর্মীরা উন্মুখ হয়ে আছে। নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো অত্যাধুনিক আইসিইউ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেন। এর মধ্যদিয়ে ৭ বছর পর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হচ্ছে ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।

যদিও খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আগের বছরের মতো এবছর নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মতো কর্মসূচি থাকছে না। তাছাড়া পুরো বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। চেয়ারপারসনের আগমণকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বিমানবন্দর, হাসপাতাল বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ভিড় করতে না পারেন সেজন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল লন্ডন সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) এক প্রস্তুতি সভা করে যুক্তরাজ্য বিএনপি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এয়ার এম্ব্যুলেন্সটি ৮ জানুয়ারি সকালে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে তিনি ভিআইপি প্রটোকল পাবেন। সেখানে তাকে রিসিভ করবেন বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। যাত্রা পথে তিনি কাতারে বিরতি নেবেন।

জানা গেছে, সেখান থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে লন্ডনের সবচেয়ে পুরানো বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে। সেখানে ডা. প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে। চিকিৎসার সামগ্রিক সমন্বয় করবেন তার পুত্রবধূ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোবায়দা রহমান এবং অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মেডিক্যাল টিম।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও লন্ডনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু নির্ভর করছে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর।

আরও পড়তে পারেন-

এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডন গিয়েছিলেন। হাসিনা সরকারের একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।