২০২৫ সালের প্রথম প্রহরে রাশিয়া কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় মস্কোর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির নববর্ষের বার্তায় যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার দেশের রাজধানীর কেন্দ্রে বিরল এই হামলা হয়।
রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষয়ক্ষতি মূলত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে ড্রোনগুলো মাঝপথেই আটকানো হয়েছিল। এ ছাড়া কিয়েভের পেচেরস্কি জেলায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সেখানে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সরকারি কোয়ার্টার অবস্থিত।
আবাসিক ভবনগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শহরের কেন্দ্রস্থলে তাদের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভের কেন্দ্রে হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেই হামলা হবে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলার জবাব।
জেলেনস্কি এই ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, ‘নববর্ষের রাতেও রাশিয়া কেবল ইউক্রেনকে আঘাত করার কথাই ভাবে।’ ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাতভর ইউক্রেনের ওপর মোট ১১১টি রুশ ড্রোন ছোড়া হয়েছে, যার মধ্যে ১০৯টি প্রতিহত করা বা ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে।
গত দুই মাসে উভয় পক্ষই তাদের আকাশপথে আক্রমণ বাড়িয়েছে, যাতে যুদ্ধে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়। অন্যদিকে জানুয়ারির শেষের দিকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসবেন। তিনি দাবি করেছেন, ক্ষমতা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি যুদ্ধরত দুই দেশের মদ্ধ্যে শান্তি চুক্তি করতে সক্ষম হবেন।
তবে এই মন্তব্য কিয়েভে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ এতে ইউক্রেন মস্কোর পক্ষে থাকা শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হতে পারে।
সূত্র : এএফপি
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ