প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় এক কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৬ ব্যক্তিকে সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এ কর্মসূচি খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১০ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর দেশের দারিদ্র্য, প্রবীণ ব্যক্তি, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, কিশোর-কিশোরী, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ অসহায় মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদফতর সীমিত জনবল ও সম্পদ নিয়ে মোট ৫৪টি জনহিতকর কর্মসূচি দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবে আহত ছাত্র-জনতাসহ প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা ও সহায়তা পাচ্ছে।
তিনি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।
সূত্র : বাসস
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ