রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ তৈরির উদ্যোগ নেয়ায় শহীদ মিনারে আজ মঙ্গলবার পূর্বঘোষিত ঘোষণাপত্র দেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরিবর্তে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
নানা নাটকীয়তার পর সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছে সংগঠনটি। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের প্রক্লেমেশন অফ জুলাই রেভ্যুলেশনের ডিমান্ডকে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ একটি জায়গায় এনে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্রটি আসা উচিত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি অনুভব করেছে। এটি একটি লিখিত ডকুমেন্ট হিসেবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসা উচিত। রাষ্ট্র যখন দায়িত্ব নিয়ে নেয় তখন আমরা এটিকে সাধুবাদ জানাই।’
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
রাষ্ট্রের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানান আরিফ সোহেল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি সবাই বিপ্লবী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছি।’
এসময় সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্বের বিষয়টি নাকচ করে দেন তারা।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
সূত্র : বিবিসি।