গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় চুক্তি সম্পাদনে দেরি হওয়ায় একে অন্যকে দোষারোপ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে দুই পক্ষ। তবে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনে এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারীরা। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় নিয়ে আলোচনা কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গুরুত্বের সঙ্গে চলমান। তবে দখলদার ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের শর্ত, যুদ্ধবিরতি, বন্দী ও বাস্তুচ্যুতদের বাড়িতে ফিরে আসার বিষয়ে নতুন শর্ত দিয়েছে। এই কারণে চুক্তিতে পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে।
হামাসের এই বিবৃতির পরই দ্রুত এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামাস ফের মিথ্যা বলছে। তারা ইতিমধ্যে অর্জিত সমঝোতাগুলো থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে এবং নতুন বাধা তৈরি করছে।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা ও স্থল হামলা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এই পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখের বেশি মানুষ।
২০২৩ সালের নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে ৯৬ জন বন্দী রয়েছে। ইসরায়েলের তথ্য মতে, তাদের মধ্যে ৬২ জন জীবিত রয়েছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ