শতবর্ষী প্রাচীন রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জরুল ইসলাম আফেন্দি বলেছেন, গৌরবোজ্জ্বল ১০৫ বছরের ইতিহাসে জমিয়ত কোন ব্যক্তি নির্ভর ছিল না। ভবিষ্যতেও ব্যক্তি নির্ভর হবে না, ইনশাআল্লাহ। এখনো জমিয়ত শুরায়ী নেযামের উপর বহাল। সভাপতি কিংবা মহাসচিব চাইলেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে পারে না। যেকোনো সীদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি, চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণের পর একটি সীদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এটা আমাদের দলের দূর্বলতা নয়; বরং এটা জমিয়তের সৌন্দর্য।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পল্টনস্থ জমিয়তের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, বিগত ১৬ বছর যারা গুম, খুন, গনহত্যা, দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও চোরাকারবারিতে লিপ্ত ছিল তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। দেশকে স্থিতিশীল করতে দেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। পতিত স্বৈরাচার যেন পুনরায় আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
যুব জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাইনুদ্দিন মানিক ও মাওলানা তাওহিদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা বশিরুল হাসান খাদিমানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, যুব জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী নাসির আহমদ, ছাত্র জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর হোসাইন প্রমুখ।
কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে মাওলানা তাওহিদুল ইসলামকে সভাপতি, মুহাম্মদ আলীকে সাধারণ সম্পাদক ও মইনুদ্দীন মানিককে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ