একদিকে আজ (৯ ডিসেম্বর) ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) জন্য ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। অপরদিকে গতকাল (৮ ডিসেম্বর) ভারত বসে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ভার্চ্যুয়াল সমাবেশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ জানিয়েছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, শেখ হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বৈঠক করতে আসা তাদের হটকারীতা ছাড়া আর কিছুই না।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ইস্ট লন্ডনের ইম্প্রেশন ভেন্যু হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশের দর্শকসারিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যকে দেখা গেছে। সেখানে সাবেক সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
সমাবেশে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পতনের পর লন্ডনের এই সমাবেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল তাদেরক
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এর মধ্যে গতকাল লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আব্দুর রহমান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও কবির বিন আনোয়ারকে দেখা গেল। দেশে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ