জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক বন্দুকধারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ রোববার স্থানীয় একটি নিরাপত্তা সূত্র ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রের বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেত্রার খবরে বলা হয়, আম্মানের রাবিয়াহ এলাকায় ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে একটি টহল পুলিশ দলের ওপর একজন বন্দুকধারী প্রথমে গুলি চালান। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
গুলিবিনিময়ের ঘটনার পরপরই কঠোর নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে ওই ঘটনাস্থল পুলিশ ঘিরে ফেলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলার পর রাবিয়াহ এলাকায় আরও পুলিশ সদস্য আসেন এবং অ্যাম্বুলেসগুলোকে ছুটতে দেখা যায়।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
জর্ডানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে রাবিয়াহ এলাকা। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব চাঙ্গা হয়ে ওঠার মধ্যে জর্ডানে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বিক্ষোভ–সমাবেশ হয়েছে। তবে সেগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ।
একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছে পুলিশ।
জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে জর্ডানে চলে আসেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ জর্ডান। এটি দেশটির অনেকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তাঁদের মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাঁদের প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি ভাইদের অধিকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার নামান্তর।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ