ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে হিজবুল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে লেবাননের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক বৈরুতে পৌঁছেছেন।
হিজবুল্লাহর মিত্র লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির সাথে বৈঠক করেন আমোস হোসস্টেইন।বেরির সহযোগী আলী হাসান খলিল সোমবার রয়টার্সকে বলেন,লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ উভয়েই গত সপ্তাহে জমা দেয়া একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে,বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছে।
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতি হলেও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে।নেতানিয়াহু আরো বলেন, হেজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখাবে এমন কোনো প্রমাণ নেই।খসড়া চুক্তিতে লেবানন থেকে ইসরাইলি স্থলবাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হবে এবং হিজবুল্লাহ বাহিনীকে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হবে।
চুক্তির অংশ হিসেবে দক্ষিণ লেবাননের বাফার জোনে আরো লেবাননের সেনা ও জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরাইলি হামলায় পাঁচজন নিহত ও ৩১ জন আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হোচস্টেইন বৈরুতে যান।দু’দিনের মধ্যে বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে এটি ইসরাইলের তৃতীয় হামলা।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
হামাসের আরেক মিত্র ইয়েমেনের হাউছি গোষ্ঠী এক বছর আগে লোহিত সাগরের করিডোরে জাহাজ চলাচলে হামলা শুরু করে।২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাউছিদের হেলিকপ্টার হামলায় গ্যালাক্সি লিডার নামের একটি গাড়িবাহী জাহাজ আটক করা হয়।
জাহাজটি এবং এর ২৫ জন ক্রু এখনো বিদ্রোহীদের হাতে বন্দী রয়েছেন। হাউছিরা গত বছর লোহিত সাগরে ৯০টির বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, চারজন নাবিককে হত্যা করে।
তথ্যসূত্র – ভিওএ
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ