বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা সাদ বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলীগ জামায়াতের শূরায়ী নেজামের অনুসারীরা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ‘ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ’-এর মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী।
এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রক্তের উপর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশে আস্থার প্রতীক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সমন্বয়কদের আশেপাশে সাদপন্থীদের ভীড় দেখা যাচ্ছে।’
এরপর তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরিষ্কার বলে দিতে চাই, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী মতলববাজদের কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরামর্শে কান দেয়া যাবে না। কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠ সব সময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থীদের থেকে মুক্ত রাখতে হবে।’
তার মতে, মানুষ হত্যাকারী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাদপন্থীদের ওই দুই স্থানে কোনো অধিকার নেই।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
দেশ এখন একটি সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এই অবস্থায় সন্ত্রাসী সাদপন্থীদেরকে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সুযোগ দেয়া যাবে না। অতএব, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স এবং টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান শতকরা ৯০ শতাংশ ওলামাপন্থীদের জিম্মায় ছেড়ে দিতে হবে।’
গত ৫ নভেম্বরের মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্রের দাবিও এটিই ছিল, মনে করিয়ে দেন তিনি।
কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা মাঠে যদি সাদপন্থীরা যায়, সেক্ষেত্রে ‘২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সারাদেশবাসীকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখি না।’
এই হুঁশিয়ারির পর সাদপন্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সমাধানের পথ একটিই খোলা আছে। তওবা করুন। আপনাদের আমিরকে তওবা পড়ান। দ্বীনের সহিহ পথে ফিরে আসুন।’
সূত্র – বিবিসি
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ