বাইডেন প্রশাসনের অনুরোধের পর প্রায় ১০ দিন আগে দোহা থেকে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক অফিস বন্ধ করার আদেশ দিয়েছে কাতার। বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা টাইমস অব ইসরাইলকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে কাতার এখনো নিশ্চিত করেনি যে তারা হামাস নেতাদেরকে দেশটি ত্যাগ করতে বলেছে।
কাতার ২০১২ সাল থেকে দোহায় হামাস কর্মকর্তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। ওই সময় হামাসের সাথে যোগাযোগ করার যথাযথ চ্যানেল থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে মার্কিন প্রশাসনের অনুরোধেই হামাসকে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরাইলের ভেতরে হামাসের হামলার পর কাতারকে যুক্তরাষ্ট্র অবগত করে যে তারা হামাসের সাথে ‘স্বাভাবিক কাজকর্ম’ বজায় রাখতে পারছে না। অবশ্য, যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য হামাসের অফিস গুটিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা থেকে ওই সময় বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাসের সাথে আলোচনায় সফলতার রেশ ধরেই গত বছরের নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী একটি চুক্তি হয়। কিন্তু পরে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।
এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাস নাকচ করে দেয়ার প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে যে দোহায় হামাসের অফিস থাকাটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে আমেরিকান কোনো অংশীদারের রাজধানীতে তারা আর থাকতে পারে না।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
অন্যদিকে হামাস জোর দিয়ে বলে আসছে যে তারা কোনো ‘অবাস্তব’ চুক্তি মেনে নেবে না।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, দু’সপ্তাহ আগে হামাসকে বিদায় করতে কাতারকে অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানান, কাতার ২৮ অক্টোবরের দিকে হামাসকে কাতার ছাড়ার নোটিশ দেয়।
তবে হামাস কর্মকর্তাদের কাতার ত্যাগ কখন হবে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তারা কোথায় যাবেন, সেটাও চূড়ান্ত হয়নি। কেউ কেউ তুরস্ক, ইরান, ওমান, লেবানন, আলজেরিয়ার কথা বলছে। তবে সকল স্থানেই কিছু সমস্যা রয়েছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ