মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র।
তিনি বলেছেন, তুরস্ক ও কুর্দি বিদ্রোহীদের মধ্যে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়লে মার্কিন সেনারা সেখানে ‘কামানের খাদ্যে’ পরিণত হোক, তা ট্রাম্প চান না।
ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আসন্ন মার্কিন প্রশাসনে কেনেডি গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ব্যাপারে ট্রাম্প তার এ পরিকল্পনার কথা একটি বিমান ভ্রমণের সময় ব্যক্ত করেছিলেন।
এফ কেনেডি জুনিয়র আরো বলেন, উত্তর সিরিয়ায় মাত্র ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা তুর্কি সেনাবাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সৈন্য এবং কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রায় আড়াই লাখ বিদ্রোহীর মাঝখানে অবস্থান করছে। ওই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে মার্কিন সেনাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়বে বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন ‘জেনারেলরা’ জানিয়ে রেখেছেন যে তুর্কি বাহিনী ও কুর্দি বিচ্ছিন্নাতাবাদীদের মধ্যে সঙ্ঘাত বেধে গেলে উত্তর সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনারা ‘কামানের শিকারে’ পরিণত হবেন।
২০১৪ সালে সিরিয়ায় উগ্রগোষ্ঠী আইএসয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার অজুহাতে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করেছিল আমেরিকা। অথচ এ কাজের জন্য তারা দামেস্ক সরকারের অনুমতি বা জাতিসঙ্ঘের অনুমোদন নেয়নি। ওই ঘটনার ১০ বছর পর এখনো সিরিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ