দেশের জলসীমা থেকে দুটি বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ও সমুদ্রসম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বদা দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমায় যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নৌবাহিনী জাহাজ বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করছে।
এ ধারাবাহিকতায় অপারেশন নির্মূলে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ আখতার উদ্দিন মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নিয়মিত টহল চলাকালীন বঙ্গোপসাগরের গভীরে বিদেশি পতাকাবাহী দুটি ফিশিং ট্রলার আটক করে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস আখতার উদ্দিন ‘অপারেশন নির্মূল’-এর আওতায় গত ১৪ অক্টোবর হতে বঙ্গোপসাগরের নিয়োজিত রয়েছে। নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজটির রাডারে সন্দেহজনক ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ট্রলার দুটির তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
এ সময় ট্রলার দুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ আখতার উদ্দিন ধাওয়া করে ফিশিং ট্রলার দুটিকে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরেই আটক করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
আটককৃত ট্রলার দুটিতে মোট ৩১ জন সদস্য ছিল। তাদের সবাই বিদেশি নাগরিক। পরবর্তীতে আটককৃত ফিশিং ট্রলার দুটি পটুয়াখালীতে নিয়ে আসা হয় এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আটককৃত ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জলসীমায় যেকোনো ধরনের বিদেশি অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে শহীদ আখতার উদ্দিনসহ নৌবাহিনীর ১৩টি জাহাজ সমুদ্রে, ১০টি জাহাজ নদী এলাকায় ও মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফটসমূহ অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ এবং আমাদের জলসীমার সুরক্ষায় নৌবাহিনীর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ