১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকরির জন্য চিঠির মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন টিজি হডসন নামের এক নারী। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চিঠির কোনো জবাব পাচ্ছিলেন না তিনি। কেন জবাব পাচ্ছেন না, সেটা ভাবতে ভাবতে কাটিয়ে দিয়েছেন ৪৮ বছর। অবশেষে তাঁর অপেক্ষার অবসান ঘটেছে।
সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, কেন এত দিন তিনি চিঠির উত্তর পাননি।
টিজি যুক্তরাজ্যের লিংকনশায়ারের গেডনি হিল এলাকার বাসিন্দা। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে মোটরসাইকেল স্টান্ট রাইডার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চিঠির মাধ্যমে আবেদনটি পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চিঠিটি কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছায়নি।
৪৮ বছর ধরে সেটি পোস্ট অফিসের ড্রয়ারের পেছনে পড়ে ছিল। তবে ওই চাকরি না পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি অন্য চাকরি পান।
এদিকে চিঠিটির ফেরত আসাকে আশ্চর্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন ৭০ বছর বয়সী টিজি। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, কেন আমি চাকরিটির বিষয়ে কোনো জবাব পাচ্ছি না? এখন এর কারণ জানতে পারলাম।
’চিঠিটি হাতে নেওয়ার পর খামের ওপর হাতে লেখা কয়েকটি বাক্যও দেখতে পান টিজি। তাতে লেখা, ‘স্টেইনস পোস্ট অফিস থেকে দেরিতে বিতরণ। চিঠিটি ড্রয়ারের পেছনে পাওয়া গেছে। মাত্র প্রায় ৫০ বছর দেরি।’
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
টিজি জানেন না, কে বা কারা চিঠিটি তাঁকে ফেরত দিয়ে গেল কিংবা কিভাবে এটি তাঁর কাছে এসে পৌঁছল।
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তত ৫০ বার বাড়ি বদল করেছি এবং চার থেকে পাঁচবার দেশ পরিবর্তন করেছি। তাঁরা কিভাবে আমাকে খুঁজে পেলেন, সেটি এক রহস্য। আমার স্পষ্ট মনে আছে, লন্ডনে আমার ফ্ল্যাটে বসে চিঠিটি টাইপ করেছিলাম। এত বছর পর চিঠিটি ফিরে পাওয়া আমার কাছে অনেক কিছু।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমি আমার পোস্ট বক্সটিতে কোনো চিঠি এসেছে কি না তা খুঁজতাম। কিন্তু সেখানে কিছুই পেতাম না। আর আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। কারণ আমি খুব করে মোটরসাইকেল স্টান্ট রাইডার হতে চেয়েছিলাম। তবে এত বছর পর এতটুকু বলতে পারি, আমি আমার জীবনে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি।’
সূত্র : বিবিসি
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ