বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান গোপনে দলীয় কর্মকাণ্ড এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি নিজেও এসব কাজ প্রকাশ্যে আনতে চান না। দলীয় নেতাকর্মীদের বাহিরে সাধারণ অসহায় মানুষের জন্য সেবা কার্যক্রমে যুক্ত তিনি বিদেশে অবস্থান করলেও এসব কর্মকাণ্ড তিনি নিজেই পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে আত্মতৃপ্তির জন্যই তিনি এসব কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় অনেক পরিবারের পুরো দায়িত্ব রয়েছে তারেক রহমানের কাঁধে। তার তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হয় মাদ্রাসা হাসপাতাল নিজ উদ্যোগে এসব প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করছেন তিনি। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই জানেন না তারেক রহমানের সরাসরি এসব কর্মকাণ্ড।
প্রথমে বৃদ্ধ এবং এতিম এমন ২৫ টি পরিবারের দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। সাহায্য প্রাপ্ত একটি পরিবারের কর্তা পেশায় গ্রাম্য ডাক্তার। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। বিষয়টি জানার পর তারেক রহমান নিজেই তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন। এমন প্রায় ১৫০ এর মতো মানুষের দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। দায়িত্ব নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ জনের মতো চিকিৎসক হয়ে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসা বিদ্যায় পড়ছেন আরো কয়েকজন। সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন দুজন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
বগুড়ায় একটি এতিম মাদ্রাসায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি নেই বা আংশিক আছে। এই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও অন্ধ। এ তথ্য জানতে পেরে ২০১১ সালে মাদ্রাসাটির দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ওই মাদ্রাসা চালাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সালের দিকে মাদ্রাসা একটি চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। এভাবে দল ও দলের বাহিরে সামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। তার এমন কর্মকাণ্ডের তথ্য দলটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাও জানেন না।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ