গত বৃহস্পতিবার আংকারায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সভাপতিত্বে। বৈঠকের পরে জারি করা বিবৃতিতে জাতিসংঘসহ সমস্ত দায়িত্বশীলদের আহবান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের হামলা প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যা লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ করতে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি সহজতর করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে।তুর্কি এবং তুর্কির জনগণ ইসরাইলের অমানবিক হামলার বিরুদ্ধে লেবাননের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।শীর্ষ নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘ ঘোষণার জন্য ইসরাইলের সর্বশেষ পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।তিনি বিষয়টিকে ইসরাইলের অনাচারের সর্বশেষ উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন
নেতানিয়াহু প্রশাসন হামাসের সাথে ইসরাইলের বিরোধ বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় দেখায়। বৈঠকে আংকারা গাজায় ইসরাইলের নৃশংস আক্রমণের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং যুদ্ধবিরতি সহজ করার জন্য মুসলিম ঐক্যেরে প্রতি আহবান জানিয়েছে এবং ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সপ্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের গণহত্যার বিচার করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। তুর্কি লেবানন থেকে তুর্কি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে ইসরাইলের আক্রমণ রাজধানী বৈরুতের উপকন্ঠে পৌঁছেছে।
এদিকে বৈঠকে দেশ-বিদেশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূলের সংকল্প ব্যক্ত করেছে আংকারা। জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতি করে এমন কোনো প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন হতে দিবেনা সিরিয়ার জণগণের স্বার্থ ও প্রত্যাশার সাথে সামন্জস্য রেখে সমাধানের প্রচেষ্টা বাড়াবে। ইরাকে চলমান প্রচেষ্টার বিষয়ে এমজিকে বিবৃতিতে পিকেকে সন্ত্রাসীদের এবং তাদের শাখাগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাগদাদের সাথে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আংকারার সংকল্প তুলে ধরেছে।
পুর্ব ভূমধ্যসাগরে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আংকারার প্রচেষ্টা বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুর্কি তার আন্তরিক দৃষ্টিভঙি এবং সহযোগিতার উদ্যোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে সফল হতে দিবেনা ।
সূত্র – ডেইলি সাবাহ।