পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম ৪ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি হবে কোনো বিদেশি সরকার প্রধানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।
আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল থাকবে।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, সফরের সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সাথে একান্ত বৈঠক করবেন এবং ঢাকায় একদিনের অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহবুদ্দিনের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমই প্রথম সরকার প্রধান যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানান।
উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতের আগ্রহের কারণে দ্রুত এই সফরের আয়োজন করা হয়।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বৈঠকে দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এগিয়ে নিতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে আসিয়ানের মালয়েশিয়ার সভাপতিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোতে আরো আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা হবে।
এ সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করবে, একাধিক খাতে সহযোগিতা বাড়াবে এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় পৌঁছলে দু’দেশের ঘনিষ্ঠ ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানানো হবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ