সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান করছে। এদের অধিকাংশ ছাত্রলীগ কর্মী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছিল। তবে গোয়েন্দা ও পুলিশের ব্যর্থতার কারনেই ওই সুবিধাবাদিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।পরে সোমবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েক শ চাকরিপ্রত্যাশী যমুনার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন। এতে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় কাকরাইল–মৎস্য ভবন এলাকা থেকে উত্তরা অভিমুখী সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
রনি জোয়ার্দার নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, তারা আজ প্রথমে শাহবাগ মোড়ে সমবেত হয়েছিলেন। সেখান থেকে বেইলি রোড এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসেন। সেখানে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেখানে সেনাসদস্য ও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করছেন।
আন্দোলনকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা চেয়েছেন। তারা বলেছেন, হয় সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাদের কাছে আসুক অথবা তাদের প্রতিনিধি নিয়ে কথা বলুক। কোনো ঘোষণা না পেলে তারা এখানে কাফনের কাপড় পরে শুয়ে থাকবেন।
তারা বলেন, আমরা যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়ার পরে দুপুর ২টার দিকে চারজনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা আমাদের কর্ম কমিশনের একজন কমিশনারের পিএসের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
যমুনা থেকে বেরিয়ে আন্দোলনকারী রাসেল আল মাহমুদ বলেন, ভেতরে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, সংস্কার উপদেষ্টা ড. আবদুল মুহিতের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে। পরে যখন বললাম তার সঙ্গে আমরা কথা বলব। তখন তারা সময়ক্ষেপণ শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা ‘বয়স না মেধা, মেধা মেধা; ৩০ না ৩৫, ৩৫, ৩৫; আর নয় কালক্ষেপণ, আজই প্রজ্ঞাপন’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে আগেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে যায়। তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেখানে তাদের আমরা থাকতে দেব না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ