মিয়ানমারের সামরিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ‘অস্ত্র রেখে’ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তবে বিরোধী পক্ষগুলো এ আহ্বান প্রত্যাখান করেছে বলে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনী তথা রাষ্ট্র প্রশাসন পরিষদ (এসএসি) সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সকে (পিডিএফ) ‘সন্ত্রাসের পথ’ পরিত্যাগ করে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গত বছরের অক্টোবরে বড় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যার ফলে সেনাবাহিনী প্রচণ্ড চাপে রয়েছে।
আজ শুক্রবার মিয়ানমার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমারের একটি প্রতিবেদনে এসএসি বলেছে, “জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত পিডিএফ সন্ত্রাসীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যে তারা রাজনৈতিক ইস্যুগুলোকে দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুক। সন্ত্রাসের পথ পরিত্যাগ করে স্থায়ী শান্তি এবং উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিতে জনগণের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করায় আহ্বান জানানো হয়।
ক্যুতে অপসারিত নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) দ্রুত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। রয়টার্স সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, এনইউজি’র মুখপাত্র নে ফোন লাত বলেন, “এটি বিবেচনার মতো নয়।”
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
যখন সেনাবাহিনী নির্মমভাবে গণবিক্ষোভ দমনে নামে তখন এনইউজি পিডিএফ গঠন করে।
রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য সহায়তা সমিতি একটি পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী, জানিয়েছে যে ক্যু-এর পর থেকে সেনাবাহিনী কমপক্ষে ৫,৭০৬ জনকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ২১,০০০ জনকে আটক করেছে। গত মাসে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন যে সেনাবাহিনী কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের হার ‘উদ্বেগজনক’ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেনাবাহিনী ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর নির্যাতনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে এবং নতুন নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তারা সংলাপের প্রস্তাবকে তাদের নির্বাচনের আয়োজনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তারা উল্লেখ করেছে সঠিক ভোটার তালিকা নির্ণয়ের জন্য তারা ১ অক্টোবর থেকে এটি আদমশুমারি শুরু করার কথা জানিয়েছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ