ইসরাইলি অবস্থানগুলোর ওপর মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। যার মধ্যে হাইফার উত্তরে অবস্থিত একটি সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সও রয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধকারী ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সমর্থন এবং লেবানন ও তার জনগণের প্রতিরক্ষায় হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের কিরিয়াত মটজকিন শহরে গোলাবর্ষণ করেছে।
সামাজিক মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লেবানন থেকে ছোঁড়া একাধিক রকেট কিরিয়াত শমোনায় আঘাত হেনেছে। হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা বসতি লক্ষ্যে ফালাক-২ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। আরেক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ হাইফার উত্তরের রাফায়েল মিউনিশন কোম্পানির সামরিক শিল্প কমপ্লেক্সে মিসাইল হামলার কথা জানিয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সাফাদের দক্ষিণে একটি অঞ্চলে মিসাইল আঘাত হেনেছে। তবে এ আক্রমণের সময় কোনো সতর্কবার্তা বা সাইরেন শোনা যায়নি। ইসরাইলি বাহিনী গত কয়েকদিনে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করেছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহ দখলকৃত এলাকার গভীরে বিস্তৃত আক্রমণ চালিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
বুধবার, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। চলমান এ সংকটের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স উভয়ে মিলে সংঘর্ষ থামাতে জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইসরাইল এ প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে তাদের আক্রমণ আরও বাড়িয়ে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান হামলায় অন্তত ৬২০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। এছাড়া ইসরাইলি আক্রমণের ফলে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে সীমান্তের শহরগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
সূত্র- মেহের নিউজ এজেন্সি
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ