লেবাননে হিজবুল্লাহর ব্যবহার করা ওয়াকিটকিগুলোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪৫০ জন। বুধবার দেশটির রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের এসব ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই কথা জানিয়েছে।
এর এক দিন আগে মঙ্গলবার লেবাননজুড়ে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা পেজার বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় তিন হাজার মানুষ। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি। বিশ্লেষকদের ধারণা, হিজবুল্লাহর পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিকল্পনার ফল।
যদিও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটিতে তাদের সদস্যদের ব্যবহার করা ওয়াকিটকিগুলোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে একই ধরনের বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪৫০ জন। এ ছাড়া এএফপি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, দক্ষিণ বৈরুতে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যবহার করা ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটলে আশ্রয়ের জন্য লোকজন দৌড়াচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
মঙ্গলবারের ওই হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল, গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের লক্ষ্যকে প্রসারিত করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মিত্র হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হামলার পর হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েল এই অপরাধমূলক আগ্রাসনের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। পাশাপাশি তারা গাজা যুদ্ধে হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার এবং আক্রমণের প্রতিশোধ নেবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে।
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বাউ হাবিব সতর্ক করে বলেছেন, লেবাননের ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার’ ওপর ‘নির্লজ্জ হামলা’ একটি বিপজ্জনক ঘটনা, যা ‘বৃহত্তর যুদ্ধের ইঙ্গিত দিতে পারে’।
সূত্র – এএফপি, বিবিসি, আলজাজিরা
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ