Home আন্তর্জাতিক ইসরাইল ছাড়তে শুরু করেছে ইহুদিরা

ইসরাইল ছাড়তে শুরু করেছে ইহুদিরা

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের মধ্যে, যা ৪১হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ইহুদি ইসরায়েল ত্যাগ করতে শুরু করেছে। ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য এই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি অনেক ইহুদি ইসরায়েলিকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম দেশটির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রতিবেদন উদ্বৃত করে করে বলেছে, গত অক্টোবরের পর থেকে ১২হাজারেরও ইসরায়েলি দেশ ত্যাগ করেছে এবং জুনের মধ্যে ফিরে আসেনি।

ইহুদি ইসরায়েলি ইন্বাল গ্রিনের মতো যারা চিরতরে ইসরায়েল ছাড়ার কারণ হিসেবে তাদের দেশের নড়বড়ে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে উল্লেখ করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন, ইসরায়েলি সরকার তাদের ভবিষ্যতের সঙ্ঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না বা করবে না। তারা উদ্বিগ্ন যে গাজার যুদ্ধ ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, কারণ তেল আবিব গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে অবস্থিত। ইন্বাল বলেন, নিজের মঙ্গলের জন্য ইসরায়েল ছেড়ে যাওয়া তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।

ইসরায়েলের বৃহত্তম আইন সংস্থার শ্রম ও পেশাগত অভিবাসন আইনজীবী লিয়াম শোঁর্তজ বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলো হিজবুল্লাহর সাথে উত্তর ইসরায়েলে সম্ভাব্য চরম যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। গাজায় সঙ্ঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের দুই পক্ষের মধ্যেও গোলাগুলি চলচ্ছে। এই কারণে, প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষত যেগুলো উচ্চ প্রযুক্তি খাতে রয়েছে, তারা তাদের দলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত করছে।

কিছু ইসরায়েলি বলেছেন যে তারা ইসরায়েল ত্যগ করতে চান, কারণ তাদের সরকার গাজার যুদ্ধ যেভাবে পরিচালনা করছে, তা নিয়ে তারা হতাশ। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে অপহৃত জিম্মিদের পরিবার এবং অন্যান্যরা সহ হাজার হাজার ইসরায়েলি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিন ইয়ামিন নেতানিয়াহুকে মে মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কর্তৃক উপস্থাপিত শান্তি চুক্তি গ্রহন করতে চাপ তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।

আরও পড়তে পারেন-

তেল আবিবে মে মাসে একটি সাপ্তাহিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে হাদাঁ বিহঁন্থ গাজায় যুদ্ধের দৈর্ঘ্য এবং জিম্মিদের প্রসঙ্গে যে প্রতিবাদ স্বারকটি ধরে রেখেছিলেন, তাতে লেখা ছিল, ‹নয় মাস ইতিমধ্যেই’। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যেটিতে পরিণত হয়েছে তাতে তিনি লজ্জিত হতে চান না। বরং তিনি অন্যত্র চলে যাবে। বিহঁন্থ বলেন, ‹এটা আমার নিজের দেশে পরবাসী হওয়ার মতো। আমরা এই সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি।’

বিহঁন্থ বলেছেন, তার পরিবার ১৯৩৬ সালে জার্মানি থেকে পালিয়ে ইসরায়েল এসেছিল। এখন তিনি তার স্বামীর সাথে গ্রীসে পাড়ি দেয়ার জন্য তার জার্মান পাসপোর্ট ব্যবহার করবেন। তিনি বলেন, ‹এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন। আমাদের পুরো পরিবার এখানে আছে, কিন্তু আমি এর অংশ হতে পারব না।’ সূত্র: এনপিআর।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।