সম্প্রতি ছাত্র-জনতার সরকারবিরোধী গণআন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। এখনও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গুলিতে আহত হাজার হাজার ছাত্র-জনতা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। ইতোমধ্যে নিহত ও আহতদের প্রকৃত তালিকা করার কাজ শুরু করেছে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই মুহূর্তে দেশের মানুষের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিষয়টিই হচ্ছে আন্দোলনে আহত সকল ছাত্র-জনতার যথাযথ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যদিও সরকার আহতদের সুচিকিৎসার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু অনেকেই মনে করছেন পরিস্থিতির তুলনায় এই উদ্যোগে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সবচাইতে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে দেশের সুবিধাভোগী অনেক বড় বড় শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। অথচ অতীতে দেখা গেছে ঐ সকল বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা বিভিন্ন গুরুত্বহীন কর্মকান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে শত শত কোটি টাকা প্রদান করে এসেছেন।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আন্দোলনে গুরুতর আহত ও চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতাকে উন্নতমানের সুচিকিৎসা প্রদানে আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র চীন সরকার। চীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুতর আহত ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রকে সম্পূর্ণ তাদের খরচে চীনে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন ছাত্রদের তালিকা চেয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ব্যাপারটি সরাসরি তদারকি করছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
- উগ্র হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি
- ‘ইবাদুর রাহমান’ বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ ১২টি গুণ
- মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয়
- যে কারণে হিন্দুত্ববাদের নতুন নিশানা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’
চিকিৎসাধীন ছাত্রদের প্রকৃত তালিকা চেয়ে ইতোমধ্যে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস স্বাস্থ্য অধিদফতর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। সম্ভ্যাব্য তালিকা হাতে পাওয়ার পর আহতদের চিকিৎসার গুরুত্ব অনুযায়ী শিঘ্রই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনের অত্যাধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই চিকিৎসা এবং আসা-যাওয়ার সকল ব্যয়ভার বহন করবে চীন সরকার। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস আশা করছে এ মাসের মধ্যেই তারা আহত ছাত্রদের চীনে পাঠানোর তালিকা ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ